বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আইনজীবীরা বলছেন, কাল বুধবার নিম্ন আদালতের রায়ের ‘সার্টিফায়েড কপি’ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী জানান, প্রথমে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে। এরপর জামিন আবেদন করা হবে। ওই আইনজীবীর মতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন জামিন পাওয়ার যোগ্য। কেননা এই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ কম। তার সামাজিক অবস্থা, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তিনি। এ ছাড়া একজন নারী, তাঁর বয়স ও স্বাস্থ্যগত বিষয়টি জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের বিবেচনার বিষয় হবে। ফলে এই মামলায় জামিন পাওয়া নিয়ে তারা চিন্তিত নন।

কয়েকটি মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সরকার চাচ্ছে না কেবল জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পেয়ে বেরিয়ে যাক। রাষ্ট্রপক্ষ বিভিন্ন মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁর কারাবাস দীর্ঘ করতে পারে বলে তাঁর ধারণা।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁদের মনে হচ্ছে আদালতের যারা নকল দিবেন তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। কেননা নকল পাওয়ার যুক্তিসংগত সময় অতিবাহিত হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে গড়িমসি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁরা আপিল আবেদনের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করে রেখেছেন। যেদিন নকল পাবেন সেদিন বা তার পরের দিন আপিল আবেদন করতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, যে মামলাগুলোয় খালেদা জিয়ার জামিন নেওয়া হয়নি সেগুলোর জামিন নিতে হবে। কিন্তু সরকার যদি তাঁকে অন্যায় ভাবে দীর্ঘদিন আটক রাখার চেষ্টা করে তবে মানুষের কাছে তা অপকৌশল বলে মনে হবে।

এ দিকে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি টেলিফোনে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা বিশেষ জজ আদালত-৫ এ যোগাযোগ করেছেন। তাদের বলা হয়েছে কাল বুধবার কপি পাওয়া যাবে। কপি পেলে তারা বৃহস্পতিবার আপিল করবেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রায় ২ কোটি ১১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের জেল ও সম পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।