‘শালুক’ থেকে প্রকাশিত হলো তিনটি কাব্যগ্রন্থ
নিউজ আপলোড : ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
এবারের বইমেলায় অধুনাবাদী চিন্তার লিটল ম্যাগাজিন ‘শালুক’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের তিন ব্যতিক্রম ধারার কবির তিনটি কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থ তিনটি হলো-ওবায়েদ আকাশের ‘নির্জনতা শুয়ে আছে সমুদ্র প্রহরায়’, মাহফুজ আল-হোসেনের ‘সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ’ এবং ভাগ্যধন বড়ুয়ার ‘জ্বর ও নজর’।
জ্বর ও নজর
ভাগ্যধন বড়ুয়া
‘জ্বর ও নজর’ কবি ভাগ্যধন বড়ুয়ার ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থটি একটি সিরিজ কবিতার সংকলন। এই সিরিজের মোট আশিটি কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রতিটি কবিতা চার লাইনের। মাত্র এই চার লাইন করে কবিতায় ধরা পড়েছে বোধের গভীরতা। গ্রন্থটির চমৎকার প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী সমর মজুমদার।
বইটির ব্লার্বে লেখা হয়েছে : “সময়ের উজ্জ্বল ও নিজস্ব স্বরের শক্তিমান কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া। তাঁর কবিতায় অবগাহনমাত্র এমন এক কল্পনাপ্রখর নিমগ্নতার প্রশ্রয় থাকে, যেখানে পাঠক অভাবিত তৃপ্তিতে নতুন নতুন ব্যঞ্জনে আহার মিটিয়ে নেন। ইতোমধ্যে তাঁর কবিতার একটি প্রধানতম বৈশিষ্ট্য দাঁড়িয়ে গেছে যে, তিনি কবিতায় বিষয়ভিত্তিক গভীরতা সংযোজনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যেমন তাঁর ‘লাভ লেইন’ বা ‘জিলিপি পাহাড়’। এগুলো একই বিষয়ের সিরিজ কবিতা। তাঁর বর্তমান গ্রন্থ ‘জ্বর ও নজর’-এও একই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। তবে তাঁর উপস্থাপনার ভিন্নতা দৃষ্টি আকর্ষণীয়। বলা চলে প্রতিটি গ্রন্থেই ভাগ্যধন নয়াস্বাতন্ত্র্য অনুসন্ধানী এবং উত্তীর্ণ যাত্রী। এ ক্ষমতাকে হাতেগোনা কবিদের ললাটলিখন বলা চলে। তাঁর কবিতার স্বচ্ছন্দতা ও স্বপরিণত প্রকাশ বাংলা কবিতায় তাৎপর্যপূর্ণ সংযোজন।”
ভাগ্যধন বড়ুয়া পেশাগতভাবে একজন চিকিৎসক হলেও। ধ্যানজ্ঞানে সারাক্ষণ কবিতার ভাবনায় ডুবে থাকেন। চারদিকের ভরা প্রাচুর্যের মাঝেও কবিকে খুঁজতে হলে হারিয়ে যেতে হয় অরণ্যে, অপর পৃষ্ঠায় কিংবা নদীর নিজস্ব ভাষায়।
সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ
মাহফুজ আল-হোসেন
কবি ও নন্দনতাত্ত্বিক মাহফুজ আল-হোসেনের পঞ্চম কবিতার বই ‘সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ’। গ্রন্থে তাঁর সিজোফ্রেনিক সিরিজের ২৬টি কবিতা রয়েছে। এছাড়া চলমান মহামারি ও অন্যান্য বিষয়ে স্বতন্ত্র কবিতাগুলো স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল। তাঁর এ গ্রন্থটিরও প্রচ্ছদ করেছেন বিশিষ্ট শিল্পী সমর মজুমদার। গ্রন্থের ব্লার্বে বলা হয়েছে: “কবিতা কি মুগ্ধকর সচেতন প্রয়াসের বহুচর্চিত শৈল্পিক অনুধ্যান, নাকি নিঃশ্চেতন অথবা অবচেতনের গহীন থেকে উঠে আসা কিছু অসংলগ্ন স্বগতোক্তি। কবিতা কি যুক্তিনির্ভর চিন্তন কাঠামোর মসৃণ সড়কপথ ধরে সরলরৈখিক গন্তব্যে পৌঁছায়, নাকি লাগামহীন খেয়ালি মনের বঙ্কিম বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে অচেনা সরাইখানায় রাত্রি যাপন করে। পাঠককে এমনই সব দ্বন্দ্বমুখর নান্দনিক প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হবে সাম্প্রতিক বাংলা কবিতার আলোচিত কবি মাহফুজ আল-হোসেনের ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ’ পাঠ পরিভ্রমণে।”
পেশগত জীবনে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। শালুক-এর সহযোগী সম্পাদক। যাপিত জীবনে কবিতাকে তিনি নিরবচ্ছিন্ন শক্তির আধার বলে মনে করেন। বৈষয়িক ব্যস্ততার মাঝেও একটু অবসর পেলেই পাল উড়িয়ে দেন কবিতার ডানায়।
নির্জনতা শুয়ে আছে সমুদ্র প্রহরায়
ওবায়েদ আকাশ
ওবায়েদ আকাশের ভাষ্যে তিনি সব সময় নিজেকেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বি মনে করেন এবং নিজেকেই অতিক্রম করতে চান। যে কারণে তিনি গতানুগতিকতা ও পুনরাবৃত্তিকে পরিহার করে প্রতিটি বইতেই স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এ গ্রন্থটি তেমন একটি গ্রন্থ। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন জেন কর্নওয়েলের চিত্র অবলম্বনে কবির হোসেন। বইটির ব্লার্বে বলা হয়েছে: “ওবায়েদ আকাশ সময়ের আলোচিত ও বিশ শতকের নব্বইয়ের দশকের সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধারার কবি। সমসাময়িক বাংলা কবিতায় তিনি নির্মাণ করেছেন গভীর বোধজাত ভিন্নতর উচ্চতা। সময়কে অতিক্রম করে সুউচ্চ কাব্যবৃক্ষের পাতায় পাতায় পরিভ্রমণ করেন তিনি। প্রতিমুহূর্তে শুধু নিজেকেই অতিক্রম করতে পছন্দ করেন। মনে করেন, তিনি বাঙালি, সমগ্র বিশ্ব তাঁর দেশ, সমস্ত সৃষ্টি তাঁর সহসৃষ্টি। শুরু থেকেই তিনি লিটল ম্যাগাজিন কেন্দ্রিক ভিন্ন স্বরের কাব্য জিজ্ঞাসায় নিজেকে উপস্থাপন করেন। প্রশ্ন করা বা ‘না’ বলার স্পর্ধা তাঁর কাব্যানুশীলনের মর্মে। সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র তাঁর ঈর্ষণীয় কাব্যভাষা তাঁকে অগণিত তরুণ কবির আইডলে পরিণত করেছে। ‘নির্জনতা শুয়ে আছে সমুদ্র প্রহরায়’ গ্রন্থে তিনি নিজেকে আরো বেশি শাণিত করে উপস্থাপন করেছেন। তাঁর ভাষায় নিজেকে আরেকবার উৎরে গেলেন। এই গ্রন্থের প্রধান বৈশিষ্ট্য সাম্প্রতিক মহামারিকালের স্বনিষ্ঠ উপস্থাপন ও নবতর নিরীক্ষায় বাংলা কবিতায় নতুন মাত্রার সংযোজন।”
পেশাগত জীবনে ওবায়েদ আকাশ গণমাধ্যমে চাকরি করেন। সম্পাদনা করেন লিটল ম্যাগাজিন ‘শালুক’। সারাক্ষণ কবিতামগ্ন এক অখেয়ালী জীবনকে বয়ে চলেছেন আশা-নিরাশায়।
বই তিনটি পাওয়া যাবে বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ‘শালুক’-এর স্টলে। জনান্তিক, স্টল নং ৩৯৫-৩৯৬, এবং অভিযান, ৯৩ নং স্টলে।
-
বিদায় বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’
‘তুমি আসবে বলে, কাছে ডাকবে বলে, ভালোবাসবে ওগো শুধু মোরে, তাই চম্পা
-
বাঙালির ঐতিহাসিক উৎসবের নবায়ন
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশকে বলা হয় ‘বারো মাসে তেরো পার্বণে’র দেশ। এ থেকে এ কথা
-
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা’
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
এক. উৎসব একটি সর্বমানবীয় বিষয়। কবে থেকে মানুষ উৎসবের আয়োজন করেছে তার কোনো

-
শুধু নেই সে
দ্যাখো ঐ যে ফাঁকা চেয়ার। আজ ছুটিদিন সকলে আছে আড্ডায়, সুখী-দুঃখী সকলে, সাতদিনে একদিন
-
তোমাদের যাহাদের সাথে
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
তোমাদের যাহাদের সাথে দেখা হয়েছিলো : ঘরে কি বাইরে, স্মৃতিদের মতো ট্রেনে- বাসে,
-
প্রাণে প্রাণ মেলানোর উৎসব
ফরাসি দেশের এক দার্শনিক, জাক লাকাঁ তাঁর নাম, বলেছিলেন : বড় শামিয়ানার
-
শিয়রে করোনাক্রান্তি, বরণে ১৪২৮
বছর আসে, বছর যায়। আসা-যাওয়ার মাঝে জড়ানো জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, সম্পদ-সংকট, হাসি-কান্না।
-
শূন্যতায় ঢিল
আমার আত্মা হরনিয়া সুমনদা, আগাগোড়া এমনই ভেবে এসেছে টুনিবেবি। এখন যা বয়স
-
আহা বৈশাখ এলো বৈশাখ
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
উদ্ধৃত কবিতার পংক্তিমালায় চমৎকার মিলের অকৃত্রিম উপলব্ধির ধ্বনিতরঙ্গে শত শত বছর ধরে