‘অনুভবে বঙ্গবন্ধু’: শতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিউজ আপলোড : ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে চারদিকে অগণিত গ্রন্থ-সংকলন প্রকাশিত হচ্ছে। কোনোটা মান ধরে রাখতে পারছে আবার কোনো কোনো প্রকাশনা লেখা ও সম্পাদনার দিকে গুরুত্ব না দিয়েই প্রকাশিত হচ্ছে। এতো এতো প্রকাশনার ভেতর সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ বা ভালো প্রকাশনাটি তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে ভালো প্রকাশনাগুলো লেখক তালিকা এবং সম্পাদনার ধরন দেখে বোঝা যায়। অনেক ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে-খ্যাতিমান লেখকদের লেখা নিয়ে। দেখা যাচ্ছে তাদের কোনো অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সংকলনে তাদের লেখা প্রকাশ করছে। অনেক অনেক পুরনো লেখাও সেখানে প্রকাশিত হচ্ছে। এতে বিপুল সংখ্যক প্রকাশনার মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
“অনুভবে বঙ্গবন্ধু” সম্প্রতি প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থটি সেদিক বিচারে একটি মানসম্মত ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিরেট ভালোবাসার সংকলন। এটি প্রকাশ করেছে ২০তম বিসিএস (প্রশাসন)-এর কর্মকর্তাবৃন্দ। সম্পাদনা পরিষদে আছেন কয়েকজন উজ্জ্বল ও মেধাবী কর্মকর্তা।
প্রধান সম্পাদক হিসেবে আছেন নুমেরী জামান এবং সম্পাদকমণ্ডলীতে আছেন-মঈনুল ইসলাম, ফারহানা আইরিস, মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, পরিতোষ হাজরা, নাঈমা হোসেন ও মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এরা সাই সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সংকলনটিতে প্রকাশ পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ, একটি গল্প, কবিতগুচ্ছ, শিল্পীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি প্রতিকৃতি ও কিছু প্রাসঙ্গিক আলোকচিত্র।
গ্রন্থটির উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে-২০তম ব্যাচের বাইরে থেকে তারা দেশের বরেণ্য লেখকদের লেখা সংকলনভুক্ত করেছেন। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মাসুক হেলালের বেশ কিছু বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এদের সঙ্গে গ্রন্থভুক্ত হয়েছে ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের লেখা। লেখাগুলো সম্পর্কে বইটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে-
“‘অনুভবে বঙ্গবন্ধু’ নামে এই প্রকাশনায় লিখেছেন দেশের বরেণ্য কবি-লেখক-বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে আমাদের ২০তম (প্রশাসন) ব্যাচের সহকর্মীবৃন্দ। রচনাগুলোতে নানা আঙ্গিকে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে তাঁর জীবনের কর্মতৎপরতার অংশবিশেষ। আমাদের কর্মকর্তাগণের লেখাগুলোতে একদিকে যেমন প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং ইতিহাসের বিভিন্ন দিক, অপরদিকে জাতির পিতার প্রতি আমাদের আবেগ এ লেখার প্রতিটি বাক্যে সঞ্চারিত হয়েছে। ২০তম বিসিএস (প্রশাসন) ব্যাচে নিয়মিত কবি, লেখকদের পাশাপাশি অনেকেই লেখায় অংশগ্রহণ করেছেন।”
বরেণ্য লেখকদের মধ্যে প্রবন্ধ লিখেছেন-অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ড. আতিউর রহমান, অজিত কুমার সরকার, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত), সিকদার আনোয়ার, সাজ্জাদুল হাসান ও মোঃ মোশারফ হোসেন।
কবিতা লিখেছেন কবি কামাল চৌধুরী ও খলিফা আশরাফ।
গ্রন্থে মাত্র একটি গল্প ঠাঁই পেয়েছে। লিখেছেন ফারহানা আইরিস।
ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন-আল মামুন মুর্শেদ, মঈনউল ইসলাম, ড. মোঃ ফেরদৌস আলম, সাগরিকা নাসরিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, পরিমল সরকার, সুলতানা ইয়াসমীন, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, নাজিয়া শিরিন, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, খালেদা আখতার এবং এ কে এম মামুনুর রশিদ।
কবিতা লিখেছেন মাহমুদ মুরাদ, মিহির কান্তি রাউত, নাজনীন হোসেন, মোহাম্মদ কুদ্দুছ আলী সরকার, ড. নাছিমা আকতার, কাজী আবু তাহের, মাকছুমা আকতার, ফিরোজ আহমেদ ও মোঃ নজরুল ইসলাম।
অনেক সংকলনের ভিড়ে ‘অনুভবে বঙ্গবন্ধু’ বইটি যেমন প্রথম দেখাতেই খুঁজে পাওয়া যাবে, তেমনি এটি গতানুগতিক স্তুতিমূলক কোনো গ্রন্থও নয়। পুনর্মুদ্রিত লেখা নেই বললেই চলে। কাটপেস্টের কোনো বালাই নেই। গ্রন্থকারদের সম্পূর্ণ নিজস্ব ভাবনা ও তার বহির্প্রকাশ এই গ্রন্থ।
মুজিব শতবর্ষে মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণে বরণে ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ বঙ্গবন্ধুর প্রতি নির্মোহ ভালোবাসার স্মারক সন্দেহ নেই। এ কৃতিত্ব প্রধান সম্পাদক নুমেরী জামানসহ সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য দাবি করতেই পারেন।
‘অনুভবে বঙ্গবন্ধু’ একটি সুসম্পাদিত ও মুজিব শতবর্ষের প্রাসঙ্গিক লেখায় সমৃদ্ধ গ্রন্থ। রচনা বিন্যাস ও অঙ্গসজ্জায় তার প্রমাণ রয়েছে। নির্ভুল ও মার্জিত রুচির বহির্প্রকাশ বইটির পাতায় পাতায় লক্ষ্যযোগ্য।
-সাময়িকী প্রতিবেদক
-
বিদায় বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’
‘তুমি আসবে বলে, কাছে ডাকবে বলে, ভালোবাসবে ওগো শুধু মোরে, তাই চম্পা
-
বাঙালির ঐতিহাসিক উৎসবের নবায়ন
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশকে বলা হয় ‘বারো মাসে তেরো পার্বণে’র দেশ। এ থেকে এ কথা
-
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা’
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
এক. উৎসব একটি সর্বমানবীয় বিষয়। কবে থেকে মানুষ উৎসবের আয়োজন করেছে তার কোনো

-
শুধু নেই সে
দ্যাখো ঐ যে ফাঁকা চেয়ার। আজ ছুটিদিন সকলে আছে আড্ডায়, সুখী-দুঃখী সকলে, সাতদিনে একদিন
-
তোমাদের যাহাদের সাথে
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
তোমাদের যাহাদের সাথে দেখা হয়েছিলো : ঘরে কি বাইরে, স্মৃতিদের মতো ট্রেনে- বাসে,
-
প্রাণে প্রাণ মেলানোর উৎসব
ফরাসি দেশের এক দার্শনিক, জাক লাকাঁ তাঁর নাম, বলেছিলেন : বড় শামিয়ানার
-
শিয়রে করোনাক্রান্তি, বরণে ১৪২৮
বছর আসে, বছর যায়। আসা-যাওয়ার মাঝে জড়ানো জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, সম্পদ-সংকট, হাসি-কান্না।
-
শূন্যতায় ঢিল
আমার আত্মা হরনিয়া সুমনদা, আগাগোড়া এমনই ভেবে এসেছে টুনিবেবি। এখন যা বয়স
-
আহা বৈশাখ এলো বৈশাখ
সংবাদ অনলাইন ডেস্ক
উদ্ধৃত কবিতার পংক্তিমালায় চমৎকার মিলের অকৃত্রিম উপলব্ধির ধ্বনিতরঙ্গে শত শত বছর ধরে